বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষ মুসলমান। তাই এদেশের বেশীরভাগ মানুষের বিবাহ পদ্ধতিই ইসলামী বিধিবিধান মতই হয়ে থাকে। অন্য ধর্মের মেয়ে/ছেলে বিয়ে করার ক্ষেত্রেও ইসলাম অবশ্য সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন বলে দিয়েছে।অন্যান্য ধর্মেও ভিন্ন ধর্মের মেয়ে/ছেলের ভেতর বিয়ে সংক্রান্ত বিধান বর্ণিত হয়েছে।যেগুলো নিচে আলোচিত হলোঃ
ইসলাম ধর্মের আলোকেঃ
১। একজন মুসলিম মেয়ে কোন অবস্থাতেই অন্য কোন ধর্মের কোন ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত ঐ ছেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করে।
২। একজন মুসলিম ছেলে কোন অবস্থাতেই অগ্নিপূজক কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়েটি মুসলিম হচ্ছে।তবে খ্রীষ্টান বা ইহুদী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে।সেক্ষেত্রে অবশ্য যতদ্রুত সম্ভব ঔ মেয়েকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে।এই মধ্যবর্তী সময়টুকু বিয়ে irregular হিসেবে গণ্য হবে।
হিন্দু ধর্মের আলোকেঃ
হিন্দু ধর্ম সনাতন ধর্ম। এই ধর্মের অনুসারীগন বিয়ের ব্যাপার এ ধর্মীয় আইন কানুন খুব শক্তভাবে পালন করে থাকে। হিন্দু ধর্মে ভিন্ন ধর্মের ছেলে/মেয়ের বিয়ে অননুমোদিত। কাজেই অন্য ধর্মের ছেলে/মেয়ে যদি হিন্দু কোন ছেলে/মেয়েকে বিয়ে করে তবে সে বিয়ে অবৈধ হিসাবে গন্য হবে। এমনকি সনাতন ধর্মের ধারক হিসাবে হিন্দু ধর্ম ধর্মান্তরিত হওয়া সমর্থন করেনা। তাই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করাও হিন্দু ধর্মের বিধান অনুযায়ী অবৈধ।
ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্ট, বৌদ্ধ- প্রতিটি ধর্মেই বিবাহ সংক্রান্ত স্বতন্ত্র বিধান থাকলেও অনেক সময় বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কোন ছেলে-মেয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে অনড় হতে পারে। এমতবস্থায়, ধর্মের দৃষ্টিতে ঐ বিয়ে হয়ত অবৈধ হবে, তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় তা উতরেও যেতে পারে। বিশেষ এক ধরণের বিবাহ আছে যা মূলত সমকালীন আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আইনটি হল বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২ (Special Marriages Act, 1872)। এই আইনের অধীনে বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধনটাই মুখ্য বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এ ধরণের বিশেষ বিবাহ আইন প্রচলিত আছে।
0 comments