আয়কর প্রশ্নোত্তর

product 1

আপনার প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করুন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে, Income Tax Matters আয়কর বিষয়ে সবাই কে সচেতন করুন

দেওয়ানী প্রশ্নোত্তর

product 1

আপনার প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করুন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে, Civil Matters দেওয়ানী বিষয়ে সবাই কে সচেতন করুন

ফৌজদারি প্রশ্নোত্তর

product 1

আপনার প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করুন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে,Criminal Matters ফৌজদারি বিষয়ে সবাই কে সচেতন করুন

২০১৭ সালে নতুন আয়কর আইন পাস হওয়ার কথা থাকলেও ‍তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইনটি পাস হবে।
ঢাকা: ২০১৭ সালে নতুন আয়কর আইন পাস হওয়ার কথা থাকলেও ‍তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইনটি পাস হবে।
গত ০২ জুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আইনটি পাসের জন্য এক বছর পেছানোর কথা জানিয়েছেন। তবে কেন এক বছর পেছানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি।
 
এনবিআর সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। ফলে প্রস্তাবিত খসড়া পর্যালোচনা করে নতুন খসড়া তৈরিতে সময় লাগছে। তাই এক বছর পেছানো হয়েছে।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর আইনের খসড়া অনেক দিন ধরেই ওয়েবসাইটে আছে এবং এ বছর আইনটি পাসের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল। তবে আইনটি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পাস হবে’।
 সূত্র জানায়, বর্তমান আয়কর ব্যবস্থা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে আয়কর অধ্যাদেশটি বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ।
 
আয়কর অধ্যাদেশ জটিল ও যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে অনেক আগে থেকে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
 
২০১২ সালে আইএমএফ’র পরামর্শ ও অর্থায়নে নতুন আয়কর আইন, ২০১২ এর খসড়া তৈরি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে ২৪২টি ধারা ও ২৩টি অধ্যায় রয়েছে। খসড়া আইনে অধ্যায় অর্ধেকে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি মতামতের জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।
 
কিন্তু আইনটি ভারতের আয়কর আইনের হুবহু কপি ও আয়কর কর্মকর্তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে কর্মকর্তারা খসড়া সংশোধনের প্রস্তাব করেন।
 
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আইনটি পাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মকর্তাদের এ বিরোধিতার মুখে তা আবারও এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
সূত্র জানায়, খসড়া আইনটি পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করতে সাতজন কর কমিশনারের সমন্বয়ে সাতটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে।


:
আয়ের পুরোটা তার হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ফ্ল্যাট কিনে দিতে ১০ লাখ টাকা দাবি করে সেজন্য মারধরের অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি। নগরীর চান্দগাঁও কেবি আমান আলী রোডের বাসিন্দা আবুল হাসানের এই মামলায় তার স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজুকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী সম্প্রতি যৌতুক নিরোধ আইনে করা অভিযোগ আমলে নিয়ে নাজুর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বলে বাদীর আইনজীবী কংকন চন্দ্র দেব জানিয়েছেন।
আইনজীবী কংকন চন্দ্র দেব জানান, “হাসানের স্ত্রী একটি ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার জন্য স্বামীকে কয়েক বছর ধরে চাপ দিচ্ছিল। এজন্য স্ত্রী ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করে। এছাড়া স্বামীর প্রতি মাসের পুরো আয় তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল নাজু।”
গত প্রায় তিন বছর ধরে এসব ঘটনা চলছে জানিয়ে আইনজীবী কংকন বলেন, সর্বশেষ গত ১১ অগাস্ট ও ২৫ মার্চ নিজের বাসায় হাসানকে মারধর করে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয় তার স্ত্রী।
কয়েক বছর ধরে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ফল না আসায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।
২০১১ সালের ১৩ মে চান্দগাঁয়ের আবুল হাসানের সঙ্গে হালিশহর রামপুরা এলাকার নাজমুন নাহার নাজুর বিয়ে হয়। তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
পেশায় থাই অ্যালুমিনিয়ামের মিস্ত্রি আবুল যৌতুক নিরোধ আইনের চারটি ধারায় এ মামলা করেছেন।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম

:
বাংলাদেশের সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে আদি এখতিয়ার দিয়েছে তা হল সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছে সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদে দেশের সকল নাগরিককে দিয়েছে মৌলিক অধিকার । নাগরিকের এরূপ মৌলিক অধিকার লঙ্গিত হলে তা বলবত করার এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর এখতিয়ারই হল হাইকোর্ট বিভাগের রিট এখতিয়ার ।তাই কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সনবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগে যে আবেদন করতে পারেন তাই হল রিট আবেদন । এইরূপ রিট আবেদন পেলে হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবত করার যে আদেশ দিতে পারেন
তাই হল রিট ।
রিটের প্রকারভেদ :
সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদে রিট সম্পর্কে আলোচনা থাকলেও রিট যে পাঁচ প্রকার তা উল্লেখ নেই ।তবে উক্ত অনুচ্ছেদে প্রতিটি রিটের যে উপাদান বর্ণীত হয়েছে তার বিশ্লেষণ থেকে পাঁচ প্রকার রিটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় ,যার বিবরণ নিচে তুলে ধরা হল পাঁচ প্রকার রিট (Writ) :
১) হেবিয়াস কর্পাস (Habeas Corpus): কোন ব্যক্তি যদি মনে করে তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাহলে সে হেবিয়াস কর্পাস- এর জন্য আবেদন করতে পারে। সেই আবেদন গ্রাহ্য হলে আদালত কারাগার- কর্তৃপক্ষকে হুকুম (রিট অফ হেবিয়াস কর্পাস) দেবে কয়েদীকে আদালতে নিয়ে আসতে - যাতে আদালত বিচার করে দেখতে পারে যে, তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা
কিনা। হেবিয়াস কর্পাস-এর জন্য আবেদন কারারুদ্ধ ব্যক্তি নিজে অথবা অন্য কেউ তার জন্য করতে পারে। এই আবেদনে দেখাতে হবে যে, আদালত কারারুদ্ধ ব্যক্তিকে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বা আইনের অপপ্রয়োগ করে কারাদণ্ড দিয়েছে। অনেক সময়ে কোন বিচারক কাউকে আদালত-অবমাননার দায়ে জেলে পাঠাতে চাইলে, সেই ব্যক্তি হেবিয়াস কর্পাস-এর জন্য আবেদন জানাতে পারে ( To have the body before the court ) ।
২) ম্যাণ্ডেমাস (Mandamus): ল্যাটিন অর্থ 'আমরা হুকুম দিচ্ছি'। বস্তুত এটি কোনও সরকারি সংস্থাকে দেওয়া একটি আদেশ। সরকারি সংস্থা যখন আইন অনুসারে কোনও কাজ করায় গাফিলতি করছে, তখন তাকে আইন অনুযায়ী কাজ করার আদেশ দেওয়া। [ Directive Writ ]
৩) রিট অফ সার্টিওরারি (Writ of certiorari): সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন আদালত থেকে আসা আপীল শুনানী করার সিদ্ধান্ত। প্রজাতন্ত্রের করমে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা কত্রিপক্ষ বা কোন অধস্তন আদালত বা টেরাইবুনাল এর আদেশ বা কারযোধারা আইনানুগ না হয়ে থাকলে সেই আদেশকে অকার্যকর ঘোষণা করে যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল উতপ্রেষণ রিট বা Writ of certiorari ।
৪) কো ওয়ারাণ্টো (quo warranto): কথাটির ল্যাটিন অর্থ 'কোন ওয়ারেণ্টের বলে? এটি যাঁকে পাঠানো হয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া তিনি যে কাজ করার অধিকার আছে বলে দাবী করছেন, সেই অধিকার কোথা থেকে তাঁর উপর বর্তেছে।
৫) রিট অফ প্রহিবিশন (Writ of Prohibition): উচ্চ আদালত (সাধারণতঃ সুপ্রিম কোর্ট) থেকে নিম্ন আদালতের উপর হুকুম যে, মামলার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া - কারণ সেই মামলা নিম্ন আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত।

(1) মূল্যবান জামানতঃ কোন দলিল বলে আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্টিত বা খারিজ বা হস্তান্তর করার জন্য অঙ্কিত বস্তুকে মূল্যবান জামানত বলে।দঃবিঃ ৩০ ধারা।
(2) অপরাধঃ যে সমস্ত কাজ আইনে নিষেধ আছে সেই সমস্ত কাজ করলে এবং যে সমস্ত কাজ আইনে বলা আছে তা অমান্য করলে তাকে অপরাধ বলে।দঃবিঃ ৪০ ধারা , ফৌঃ কাঃ ৪(ণ) ধারা।
(3) সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসঃ যথাযথ মনোযোগ বা সর্তকর্তার সহিত যা করা হয় তাকে সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসে করেছে বলে গণ্য হবে।দঃ বিঃ ৫২ ধারা।
(4) ধর্ষণঃ দণ্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা বর্ণনানুযায়ী নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় কোন স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।
১.স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২.স্ত্রী লোকটির অনুমতি ছাড়া ।
৩.স্ত্রী লোকটির অনুমতিসহ যে ক্ষেত্রে তাকে মৃৃত্যু বা গুরুতর ভয় দেখানো হয়েছে।
৪.স্ত্রী লোকটির অনুমতিক্রমে, যে ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী জানে যে, সে তার (স্ত্রী লোকটির) স্বামী নয় কিন্তু স্ত্রী লোকটি এই বিশ্বাসে সম্মতিদান করে যে, পরুষ লোকটি আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে।
৫.স্ত্রী লোকটি অনুমতি সহকারে বা অনুমতি ছাড়া, যে,ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছর এর কম হবে।
দণ্ডবিধি আইন ৩৭৫ ধারা, শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৬ ধারা,নারী ও শিশু নিঃ আইন ২ (ঙ)/ ৯ ধারা।
(5) পুলিশ রিমান্ডঃ-ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১ ধারা অনুসারে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার অধিক সময় আটক রাখা যাবে না। তবে যদি তদন্তকারী অফিসার মনে করে যে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাইমাল উদ্ধার, অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা ও সনাক্তকরণ করা যাবে সেই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার জিডি করে জিডির কপি সহ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর ম্যাজিষ্টেট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মনে করেন তাহলে ম্যাজিষ্টেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিবেন। এই নির্দেশ দেয়াকে পুলিশ রিমান্ড বলে।ফৌঃ কাঃ ৬১,১৬৭ ধারা,পুলিশ আইন ২৪ ধারা, পিআরবি ৩২৪,২১৩ বিধি।
(6) বেওয়ারিশ লাশঃ-যে সকল মৃত দেহ বা লাশের ওয়ারিশ বা দাবিদার নেই তাকে বেওয়ারিশ লাশ বলে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দূঘটনা এই সকল কারনে যদি কারো মৃত্যু হয় তখন যদি লাশ এর পরিচয় অজ্ঞাত থাকে সেই সকল লাশকে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে গণ্য করা হয়।পিআরবি ৩১০,৩১৩,৩১৪ বিধি ।
(7) আশ্রয়দানঃ-গ্রেফতার এড়াবার জন্য যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান, বস্ত্র, অথর্, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করাকে আশ্রয়দান বলে।দঃবিঃ- ৫২-ক, ধারা।
ব্যতিক্রমঃ যদি কোন স্ত্রী নিজ স্বামীকে বা কোন স্বামী তার নিজ স্ত্রীকে এইরূপ আশ্রয়দান করিলে অপরাধজন আশ্রয়দান বলে গণ্য হবে না।
(8)প্ররোচনাঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করে উস্কানি দেয় বা পরামর্শ দেয় বা কার্যবিরতী দ্বারা সংঘটনের পথ সুগম করে দেয় তাকে প্ররোচনা বলে।দঃবিঃ ১০৭, ১০৯ ধারা।
(9) দাঙ্গাঃ কোন বে আইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ এর সাধারন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের জন্য বল বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হলে তাকে দাঙ্গা বলে।দঃবিঃ ১৪৬, শাস্তি- ১৪৭ ধারা।
(10) গণ উপদ্রবঃ যদি কোন ব্যক্তি তার কাজের দ্বারা তার প্রতিবেশী বা জনসাধারনের বিরক্তিকর, ক্ষতি, বিপদ সৃষ্টি করে তাকে গণ-উপদ্রব বলে।দঃবিঃ ২৬৮ ধারা।
(11) গুরুতর আঘাতঃ- দঃবিঃ আইনের ৩২০ ধারা বর্ণনানুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করে নিম্নলিখিত ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট করে তাকে গুরুতর আঘাত বলে।
১। যে আঘাত কোন ব্যক্তির পুরুষত্বহানী করে।
২। যে আঘাতের কারনে কোন ব্যক্তির যে কোন একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নষ্ট করে।
৩। যে আঘাতের মাধ্যমে যে কোন কানের শ্রবন শক্তি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করা ।
৪। কোন ব্যক্তির শরীরের গ্রন্থি বা অঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতি সাধন করে।
৫। শরীরে কোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করা।
৬। মস্তক বা মুখমন্ডল স্থায়ীভাবে বিকৃতিকরন করা।
৭। শরীরের হাতভাঙ্গা বা গ্রন্থিচ্যুত করা।
৮। এমন আঘাত জীবন বিপন্ন করে আঘাতের কারনে ২০ দিন পর্যন্ত দৈহিক যন্ত্রনা ভোগ করে এবং সাধারন কাজ কর্ম করতে অসমর্থ হয়।দঃবিঃ ৩২০ ধারা, শাস্তি- ৩২৫ ধারা।
(12) আক্রমনঃ যদি কোন ব্যক্তি আক্রমনের উদ্দেশ্যে এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা প্রস্তুতি লয় বা উপস্থিত কোন ব্যক্তির ভয় হয় তাকে আক্রমন বলে।দঃবিঃ ৩৫১ ধারা।
(13) অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধঃ যদি কোন ব্যক্তিকে কেউ এমন ভাবে অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যে সে ব্যক্তি নিদির্ষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারে না। তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধ করেছে বলে গণ্য হবে।দঃবিঃ ৩৪০ ধারা।
(14) লোক অপহরণঃ যদি কোন ব্যক্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েকে তাদের অভিভাবক এর অনুমতি না নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় তাকে লোক অপহরণ বলে।দঃবিঃ ৩৬১ ধারা।
(15)দস্যুতা বা রাহাজানিঃ পাঁচ এর কম সংখ্যক লোক মিলে যদি তাৎক্ষনিক ভাবে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখিয়ে কোন অস্থাবর সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাকে দস্যুতা বলে।দঃবিঃ ৩৯০,৩৯২ ধারা।
(16) ডাকাতিঃ পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে কাউকে মৃত্যু বা জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে যায় তাকে ডাকাতি বলে।দঃবিঃ ৩৯১, ৩৯৫ ধারা।
(17) চোরাইমালঃ যে সম্পত্তি চুরি, জোরপূর্বক আদায় বা দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত হয়েছে সে সম্পত্তিকে চোরাইমাল বলে ।দঃবিঃ ৪১০ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১১ ধারা।
(18) প্রতারনাঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি, ছলনা, প্রবঞ্চনা, অসাধুভাবে, দূর্নীতিমূলক ভাবে কোন সম্পত্তি প্রদানে প্ররোচিত করে তাকে প্রতারনা বলে। দঃবিঃ ৪১৫ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১৭ ধারা।
(19) আমলযোগ্য অপরাধঃ যে অপরাধের কারনে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে বা অন্য কোন আইন অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে তাকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃকাঃ ৪(চ) ধারা।
(20) নালিশঃ কোন আমলযোগ্য বা আমলের অযোগ্য অপরাধের কারনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হয়ে লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি প্রদান করে তাকে নালিশ বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(জ)ধারা।
(21)অফিসার ইনচার্জঃ একটি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ প্রধান কে অফিসার ইনচার্জ বলা হয়। থানায় যখন অফিসার ইনচার্জ অসুস্থ্য বা অন্য কোন কারনে অনুপস্থিত থাকেন তখন থানায় উপস্থিত অধস্তন অন্য কোন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব অর্পন করলে তিনিও অফিসার ইনচার্জ হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হবে। ফৌঃ কাঃ ৪(ত) ধারা ,পিআরবি ২০১ বিধি।
(22) গ্রেফতারী পরোয়ানাঃ- কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য উক্ত ব্যক্তির নাম,ঠিকানা, মামলা, নাম্বার, অপরাধের ধারা ও তামিলকারী অফিসারের নাম,পদবী উল্লেখ করে ০১(এক)কপি নির্ধারীত ফরমে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৭৫ ধারা,পিআরবিঃ ৩১৫,৪৬৮নিয়ম।
(23)সুরতহাল রিপোর্টঃ- কোন ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মৃত্যু বরন করলে বা আতœহত্যা করলে বা অন্য কোন কারনে মৃত্যু হলে ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসার হাজির হয়ে মৃত দেহের যে বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে সুরতহাল রিপোর্ট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৪ ধারা , পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।
(24)হুলিয়াঃ- কোন পলাতক বা ফেরারী আসামীকে একটি নিদিষ্ট তারিখ ও সময়ে নিদিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের সময় দিয়ে নির্ধারীত ফরমে ২ কপি ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত ঘোষনা পত্রকে হুলিয়া বলে।ফৌঃ কাঃ ৮৭ ধারা, পিআরবিঃ ৪৭২ নিয়ম।
(25) তল্লাশী পরোয়ানাঃ- যখন কোন আদালত মনে করেন যে সাধারণ তল্লাশী বা পরিদর্শন দ্বারা কোন তদন্ত বা বিচারের কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। যেমন সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি ,জাল দলিল চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কাউকে আটক রাখা হলে তা উদ্ধার করার জন্য আদালত হইতে ম্যাজিষ্টেট কর্তৃক নির্ধারীত ফরমে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে তল্লাশী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৯৬, ৯৮,৯৯(ক),১০০ ধারা, পিআরবি ঃ ২৮০ নিয়ম।
(26) কেস ডায়েরীঃ কোন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মামলা তদন্তকালে মামলার তদন্তের ধারা বিবরণী যে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে কেস ডায়েরী বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭২ ধারা ,পিআরবি ঃ ২৬৩,২৬৪ নিয়ম।
(27) অনুসন্ধানঃ যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে নির্দেশিত পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২,১০৩, ১৫৩,১৬৫,১৬৬ ধারা অনুযায়ী বা অন্য কোন আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে চোরাইমাল, অপরাধজনক মালামাল, বা দলিল পত্রাদি উদ্ধার বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য বা তথ্য উদঘাটনের জন্য যে তল্লাশী বা পরিদর্শন করা হয় তাকে অনুসন্ধান বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(ট) ধারা ,পিআরবিঃ ২৮০ নিয়ম ।
(28) চুড়ান্ত প্রতিবেদনঃ– যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।
(29) টি আই প্যারেডঃ– টি আই প্যারেড সনাক্তকরণ মহড়া। আটক, অপরাধ সংঘটনকারী কোন অভিযুক্ত আসামীকে জেল খানার ভিতরে বাদী বা সাক্ষী কর্তৃক সনাক্তকরণ জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে একটি নির্ধারীত তারিখ ও সময়ে যে মহড়া অনুষ্টিত হয় তাকে সনাক্তকরণ মহড়া বলে।পিআরবি ২৮২(ছ) বিধি,পিআরবি ২৮৩ বিধি ,সাক্ষ্য আইন ৯,৬৩,১৪৫ ধারা
(30)অনুসন্ধান পত্রঃ– কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপহৃতকে উদ্ধার, আমাসীর নাম ঠিকানা ও স্বভাব চরিত্র যাচাই বাচাই করার জন্য এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যে পত্র ইস্যূ করে থাকেন তাকে অনুসন্ধান পত্র বলে।পিআরবি ৩৮৯ বিধি।
(31) জেনারেল ডায়েরীঃ জেনারেল ডায়েরী হল ২০০ পাতা বিশিষ্ট একটি মূল্যবান রেজিস্টার। যা ১৮৬১ সালে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪,১৫৫ ধারা পিআরবি ৩৭৭ বিধি মূলে বিপি নং ৬৫ বাংলাদেশ ফরম নং ৬৩৬৫ এ প্রত্যেক থানা ফাঁড়িতে যে রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে জেনারেল ডায়েরী বলে।পুলিশ আইন ৪৪ ধারা,ফৌঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা,পিআরবি ৩৭৭ ধারা
(32) মাদক দ্রব্যঃ মাদক দ্রব্য বলতে নেশাগ্রস্ত দ্রব্য বা যা সেবনে বা গ্রহনে মানুষ বেসামাল বা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়, দেহ ও শরীরে পরিবর্তন ঘটে, স্মৃতি শক্তি ও যৌন শক্তি হ্রাস পায়, কর্মদক্ষা লোপ পায় তাকে মাদক দ্রব্য বলে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২(ঠ) ধারা।
(33) হৈ চৈ বিজ্ঞাপনঃ যখন কোন অপরাধীকে গ্রেফতার বা চোরাইমাল উদ্ধার করার প্রয়োজন হয় তখন চোরাইমাল উদ্ধার বা অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য বিপি নং ২৮ এ যে নোটিশ ইস্যূ করে থাকেন তাকে হৈ চৈ বিজ্ঞাপন বলে। পিআরবি ২৫০ বিধি।
(34) বেওয়ারিশ সম্পত্তিঃ- কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দাবিদার,ওয়ারিশদার বা মালিক খুঁেজ পাওয়া না গেলে সে সকল সম্পত্তিকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে।পুলিশ আইন ২৫ ধার,ফৌঃ কাঃ ৫২৩ ধারা,পিআরবি ২৫১ বিধি,ডিএমপি অধ্যাঃ ২২ ধারা
(35) স্বীকারোক্তিঃ -স্বীকারোক্তি হলো ফৌজদারী মামলার কোনো অভিযুক্ত আসামী কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট ভয়ভীতি,হুমকি,প্রলোভন,প্রতিশ্রƒতি ব্যতীত স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে যে জবানবন্দি প্রদান করে তাকে স্বীকারোক্তি বলে। ফৌঃ কাঃ ১৬৪,৩৬৪ ধারা, সাক্ষ্য আইনের ২১৪-৩০ ধারা, পিআরবি ৪৬৭ বিধি
(36) স্বীকৃতিঃ- স্বীকৃতি হলো মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি যা বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তের সূচনা করে তাকে স্বীকৃতি বলে। সাক্ষ্য আইন ১৭ ধারা, পিআরবি ২৮৩ বিধি।
(37) মহানগর পুলিশঃ মহানগরী এলাকার জনসাধারনের নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে যে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয় তাকে মহানগরী পুলিশ বলা হয়। যেমন ঃ ঢাকা মহানগরী পুলিশ , চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশ । মহানগরী অধ্যাঃ ৫ ধারা ।
(38) ভিসিএনবিঃ গ্রামের অপরাধী , সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সন্দেহজনক ও পেশাগত অপরাধীদের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ থানার যে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলে। ইহা পুলিশ আইনের ১২ ধারা ও পিআরবি ৩৯১ বিধি মোতাবেক থানায় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।পুলিশ আইনের ১২ ধারা,পিআরবি ৩৯১ বিধি।
(39) রাজসাক্ষীঃ দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দন্ডবিধি আইনের ২২১,২১৬(ক),৩৬৯,৪০১,৪৩৫ ধারা অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত আসামী ক্ষমা পাওয়ার আসায় অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সম্পপূর্ণরুপে প্রকাশ করে রাষ্ট্রের পক্ষে হয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করলে তাকে রাজসাক্ষী বলে।ফৌঃ কাঃ আইন ৩৩৭,৩৩৮ ধারা,পিআরবি ৪৫৯,৪৮৬ বিধি,সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।
(40) জবানবন্দিঃ- কোনো সাক্ষী আদালতে শপথ গ্রহণ করে আহ্বানকারীর পক্ষে বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গি বিষয় সম্পর্কে যে বিবৃতি প্রদান করে থাকেন তাকে সাক্ষীর জবানবন্দি বলে। সাক্ষ্য আইন ঃ ১৩৭ ধারা।
(41) জেরাঃ আদালতে কোনো সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হলে বিপক্ষ যখন উক্ত সাক্ষীকে কোনো প্রশ্ন করেন তাকে জেরা বলে।সাক্ষ্য আইনঃ ১৩৭ ধারা
(42) পুনঃ জবানবন্দিঃ আদালতে মামলা বিচার চলাকালীন সময়ে যদি কোন সাক্ষীকে আহ্বানকারীর বিপক্ষ জেরা করার পর যদি আহ্বানকারী পক্ষ আবার কোন প্রশ্ন করলে সাক্ষী যে বিবৃতি প্রদান করেন তাকে পুনঃজবানবন্দি বলে।সাক্ষ্য আইন ১৩৭ ধারা
(43) খানা তল্লাশীঃ– কোন স্থানে বা ঘরে, চোরাইমাল, জাল দলিল, সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি, আছে বলে জানতে পারলে ম্যাজিষ্টেট এর নিকট হইতে পরোয়না নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত উল্লেখিত মালামাল উদ্ধার করার জন্য ওসি বা ক্ষমতাবান তদন্তকারী পুলিশ অফিসার উক্ত ঘর বা স্থানে যে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয় তাকে খানা তল্লাশী বলে।ফৌঃ কাঃ ১০২,১০৩,১৬৫,১৬৬ ধারা,পিআরবি ২৮০ বিধি,পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ ধারা।
(44) কমিউনিটি পুলিশিংঃ অপরাধ দমন, অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্তে পুলিশ ও স্থানীয় ভালো সামাজিক স্বীকৃতি অধিকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত অপরাধ প্রতিরোধ কমিটিকে কমিউনিটি পুলিশিং বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি আইন অনুসারে জনসাধারণ পুলিশকে সাহায্য করতে বাধ্য। যা কমিউনিটি পুলিশের সাথে মিল আছে।ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি।
(45)অস্ত্রশস্ত্রঃ- আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, তরবারি, ছোরা,বর্শা ফলক, তীর-ধনুক এবং অস্ত্রের অংশ বিশেষ ও অস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতিকে আস্ত্রশস্ত্র, বুঝায়। অস্ত্র আইনের ৪ ধারা।
(46) ব্যভিচারঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সহিত তাহার স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে যা ধর্ষনের শামিল নয় তাকে ব্যভিচার বলে।দঃবিঃ ৪৯৭ ধারা।
(47)জামিনযোগ্য অপরাধঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে বা বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে জামিনের যোগ্য হিসাবে দেখনো হয়েছে সে সকল অপরাধকে জামিনযোগ্য অপরাধ বলে।
ফৌঃকাঃ ৪(খ) ধারা।
(48)জামিনের অযোগ্য অপরাধঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে এবং বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে জামিনেরযোগ্য অপরাধ ব্যতীত অন্য সকল অপরাধকে জামিনের অযোগ্য অপরাধ বলে।
ফৌঃকাঃ ৪(খ) ধারা।
(49) যৌতুকঃ- কোন বিবাহের বর বা বরের পক্ষে কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিবাহের পন হিসাবে কনের পক্ষের নিকট অর্থ সামাগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ দাবী করা হলে ঠিক তদরুপ কনে পক্ষও যদি বরের পক্ষে নিকট এইরুপ অর্থ বা অন্য কোন কিছু দাবি করা হলে তাহাকে যৌতুক বলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের 2(ঞ) ধারা।
(50)অভিমত সাক্ষ্যঃ-ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,রসায়নবিদ,সার্ভেয়ার,শিল্পী,হস্তলেখা বিশারদ,আঙ্গুলাঙ্ক বিশারদ,পদচিহ্ন বিশারদ,আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদ,বৈজ্ঞানিক,দেশী বিদেশী আইন প্রণেতা ব্যক্তিবর্গগণ আদালতের কোন নিদিষ্ট বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করলে তাকে অভিমত সাক্ষ্য বলে।সাক্ষ্য আইনের 45,46,47 ধারা।পিআরবি 297 বিধি।[ সংগৃহীত ]
নামজারি কীভাবে করবেন?
প্রথমেই আপনাকে একটা বিশ্বাস রাখতে হবে তা হল, নামজারি একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং আপনি নিজেই তা সম্পন্ন করতে পারেন। আরো বিশ্বাস রাখতে হবে, কোন প্রকার দালাল/ভূমিদস্যু/মুন্সী বা অন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর সহায়তা ছাড়াই আপনি নিজেই তা করতে পারেন। এতে হয়তো আপনার কিছু সময় ব্যয় হবে কিন্তু আপনার বহু অর্থের অপচয় যেমন বন্ধ হবে তেমনি দালালদের অন্যায় আবদার কিংবা ভূমি অফিসের অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তির সম্ভাবনা কমে যাবে।
এখন চলুন আমরা জানি নামজারি কীভাবে করতে হয়। প্রথমে আপনাকে কয়েকটি বিষয় জানতে হবে যা নীচে দেয়া হল:
নামজারি করা কখন প্রয়োজন হয়:
• ভূমি মালিকের মৃত্যুর কারণে উত্তরাধিকারদের নাম সরকারি রেকর্ডে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়;
• জমি বিক্রি, দান, হেবা, ওয়াকফ, অধিগ্রহণ, নিলাম ক্রম, বন্দোবস্ত ইত্যাদি সূত্রে হস্তান্তর হলে নতুন ভূমি মালিকের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়;
• দেওয়ানী বা সিভিল কোর্টের রায় বা ডিক্রীমূলে মালিকানা লাভ করলে সে রায় মোতাবেক নামজারির আবেদন করা যায়।
নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, একটি পূর্ণাঙ্গ নামজারি আবেদনের জন্য আপনার নিচের কাগজপত্রগুলি থাকতে হবে:
• মূল আবেদন ফরম্ (এটি বাধ্যতামূলক)
• ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্যও প্রযোজ্য) (বাধ্যতামূলক)
• সর্বশেষ খতিয়ান (যাঁর নিকট হতে জমি ক্রয় করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন তাঁর খতিয়ান) (এটি বাধ্যতামূলক)
• ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি (বাধ্যতামূলক)
• ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা লাভ করলে অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত মূল ওয়ারিশন সনদ (শুধুমাত্র ওয়ারিশগনদের জন্য বাধ্যতামূলক)। এর সাথে মনে রাখতে হবে যে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩B ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডিয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন। উক্ত রেজিস্টার্ড বন্টননামাসহ নামজারির জন্য আবেদন জানাবেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য-বেশিরভাগ ওয়ারিশগণ এই নিয়মটি প্রতিপালন করেন না এবং ভবিষ্যতে সমস্যার মুখোমুখি হন।
• জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জাতীয়তা সনদ (ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক ইস্যুকৃত) (বাধ্যতামূলক)
• ক্রয়সূত্রে মালিক হলে দলিলের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (ক্রয়সুত্রে মালিক হলে বাধ্যতামূলক)
• বায়া/পিট দলিলের ফটোকপি (একাধিকবার উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে সর্বশেষ যার নামে খতিয়ান হয়েছে তার পর থেকে সকল দলিলের কপি প্রয়োজন হবে, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক)
• চলতি বঙ্গাব্দ (বাংলা সনের) ধার্যকৃত ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) বা খাজনার রশিদ (বাধ্যতামূলক)
• আদালতের রায়ের ডিক্রির মাধ্যমে জমির মালিকানা লাভ করলে উক্ত রায়ের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)
উল্লেখ্য, উপরোক্ত কাগজপত্রের সবগুলিই যে আপনার জন্য প্রয়োজন হবে, তা নাও হতে পারে। কোনভাবে আপনি মালিকানা লাভ করেছেন তার উপর নির্ভর করবে কোন্ কোন্ সংযুক্তি আপনার প্রয়োজন হবে।
নামজারি আবেদনের পদ্ধতি:
যেভাবে পূর্ণাঙ্গ আবেদন করবেন তা ধারাবাহিকভাবে নিম্নে বর্ণণা দেয়া হল:
১. আবেদন ফরমের সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করবেন। বিএস খতিয়ান নম্বর বা বিএস দাগ নম্বর জানা না থাকলে আপনার সাথে যে খতিয়ানের উপরে লেখা আছে তা দেখে পূরণ করুন। আবেদন পূরণ হয়ে গেলে নীচে আপনার স্বাক্ষর এবং অবশ্যই আবেদনকারীর প্রকৃত মোবাইল নম্বর (যেখানে পরবর্তীতে আপনার মেসেজ যাবে) তা উল্লেখ করুন। এবার আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবিটি আবেদনপত্রের উপর সংযুক্ত করুন এবং অন্য সকল কাগজপত্র একত্রে সংযুক্ত করে অফিসে জমা দিল। সেখানে আপনাকে একটি রশিদ দেয়া হবে এবং পরবর্তী তারিখগুলি জানিয়ে হবে।
২. আপনার দাখিলকৃত আবেদন পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট উপস্থাপন করা হবে এবং পরে তা সংশ্লিষ্ট ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার নামে অধিক পরিচিত) নিকট প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পাঠানো হবে। ভূমি-সহকারী কর্মকর্তার নিকট আপনার আবেদন পাঠানো হলে আপনি ভূমি-সহকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন।
৩. এরপর আপনি/আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আপনার আবেদনে যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছিলেন তার মূলকপি ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা (ভূসক) এর নিকট প্রদর্শনের জন্য এবং বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য যেতে হবে। উল্লেখ্য, ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া থাকলে বর্তমানে কোন নামজারি করা হয় না।
৪. ভূসক কর্তৃক আপনার সকল কাগজপত্র যাচাইয়ের পর তিনি একটি প্রতিবেদনসহ এসি ল্যান্ড অফিসে প্রেরণ করবেন। এ পর্যায়ে আপনাকে আবেদন প্রাথমিকভাবে যথার্থ পাওয়া গেলে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে নিয়ে শুনানীর জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শুনানীর দিন কোন আপত্তি না পাওয়া গেলে সর্বশেষে তা এসি ল্যান্ডের নিকট চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। ভূসকের নিকট হতে এসি ল্যান্ড অফিসে নামজারির নথি আসার পর আপনার আবেদন অনুমোদন (যথার্থ থাকলে)/ খারিজ (যৌক্তিক কারণে) হবে।
৫. এ পর্যায়ে রেকর্ড হতে অনুমোদিত হিসাব অনুযায়ী জমি কর্তন করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত খতিয়ান স্বাক্ষর করার জন্য উপস্থাপন করা হয়। এই পর্যায়ে আপনাকে এসি ল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) বা সহজ কথায় নামজারি ফি পরিশোধ করে খতিয়ান সংগ্রহ করতে হবে।
এভাবেই আপনার নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করি বিষয়টি খুব কঠিন মনে হয় নি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
• উপরোক্ত নামজারি প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপ অনুযায়ীই বেশিরভাগ (প্রায় ৯০%) নামজারি মামলা সম্পন্ন করা হয়। তবে কোন কোন নামজারি মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ/আপত্তি/দখল/দলিল/ওয়ারিশগণদের মধ্যে বন্টন সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদির কারণে নামজারি সম্পন্ন হতে বেশি সময় লাগতে পারে।
• একটি নামজারি প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য মহানগরের ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) কার্যদিবস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রয়েছে।
• কোন প্রকার দালাল/ব্রোকার/মুন্সী ব্যতিত আপনি নিজেই নামজারির আবেদন করুন। প্রয়োজনে সরাসরি এসি ল্যান্ডের সাথেই কথা বলুন।
সূত্রঃ AC Land Office, Sadar Circle, Chittagong
মৃত্যু দন্ডের ধারাসমূহ:
১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩২৬-ক, ৩৬৪-ক, ৩৯৬ দন্ডবিধির মোট ৯টি ধারায় এবং আরো কয়েকটি বিশেষ আইনের ধারায়ও মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২, ইত্যদি।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১২১, ১২১-ক, ১২২, ১২৪-ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২, ১৯৪, ১৯৫, ২২২, ২২৫ (মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তিকে আইনসঙ্গত হেফাজতে বাধা দিলে), ২৩২, ২৩৮, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭, ৩১১, ৩১৩, ৩২৬, ৩২৬-ক, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৬৪-ক, ৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯ (সম্পত্তি আদায়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার অস্বাভাবিক ভয় দেখালে), ৩৯৪-৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৮, ৪৪৯, ৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭, ৪৮৯-ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯-ঘ, ধারা।এছাড়া বিশেষ কয়েকটি আইনের ধারায়ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
শুধুমাত্র বিনাশ্রম কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১৬৩, ১৬৬, ১৬৮, ১৬৯, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০, ১৮৭, ১৮৮, ২২৩, ২২৫-ক(খ), ২২৮, ২৯১, ৩০৯, ৩৪১, ৩৫৮, ৫০৯, ৫১০
শুধুমাত্র জরিমানা দন্ডের ধারাসমূহ:
১৩৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৭১ছ, ১৭১জ, ১৭১ঝ, ২৬৩ক, ২৭৮, ২৮৩, ২৯০।
জামিনযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:
৩৩৪-৩৫২, ৩৫৪, ৩৫৫, ৩৫৭-৩৬৩, ৩৭০, ৩৭৪, ৩৭৯, ৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৪০৩, ৪০৪, ৪১৭-৪৩৫, ৪৪৭, ৪৪৮, ৪৫১, ৪৬১-৪৬৫, ৪৬৯-৪৭৫, ৪৭৭ক-৪৮৯, ৪৮৯গ, ৪৯১, ৪৯৪-৫০৪, ৪০৬-৫১০।
জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:
৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।